ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ জুন ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ভারতের উত্তরপ্রদেশে স্থানীয় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিককে বেধড়ক পেটালেন রেলপুলিশের এক কর্মকর্তা। সাংবাদিককে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুঁষি তো মারা হলোই, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হল মাটিতে। গারদে পুরে তার মুখে প্রস্রাব করলেন পুলিশ কর্মীরা। এর আগে সাংবাদিকের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে আছড়ে ভাঙা হলো ভিডিও ক্যামেরা। তার পর জামার কলার ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে তাকে পোরা হলো গারদে।
কলকাতার সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ঘটনা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলির। সেখানকার ধীমানপুরায় মঙ্গলবার রাতে একটি মালগাড়ির লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনার খবর করতে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সারা রাত গারদে আটক করে রাখা হয় ওই সাংবাদিককে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার জেরে আজ বুধবার তিনি ছাড়া পান। জিআরপির অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) রাকেশ কুমার ও তার সঙ্গী কনস্টেবল সঞ্জয় পওয়ারকে সাসপেন্ড করেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহ।
পরে লিখিত অভিযোগে সেই সাংবাদিক বলেন, ‘সাদা পোশাকে ছিলেন জিআরপির পুলিশকর্মীরা। গারদে পোরার পর আমার জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয়। আমার মুখে প্রস্রাব করেন পুলিশকর্মীরা।’
ঘটনাস্থলে থাকা অন্য সাংবাদিকরা বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গেও তর্ক করতে দেখা যায় জিআরপির ওই অভিযুক্ত স্টেশন হাউস অফিসারকে। জিআরপির অভিযোগ, ওই সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে খবর করেছিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, গারদের ভেতর থেকে জিআরপির অফিসার রাকেশ কুমারকে লক্ষ্য করে অভিযোগ করছেন ওই সাংবাদিক। আর সামনে একটি চেয়ারে বসে রাকেশ গারদে আটক সাংবাদিকের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে টুইট করার দায়ে সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতারের জন্য এক দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
Leave a Reply